গুয়াহাটি এবং উত্তর পূর্বে ডাঃ পি জে মজুমদারের চুল প্রতিস্থাপন

FUE কেশ প্রতিস্থাপনে যন্ত্রণা যৎসামান্যই হয়।

গোটা প্রক্রিয়াটাই করা হয় লোকাল অ্যানাস্থেটিকের অধীনে। তাই প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনো যন্ত্রণাই হয় না। অস্ত্রোপচার পরবর্তী পর্যায়েও FUE-তে অনেক কম যন্ত্রণা হয় আগেকার Strip পদ্ধতির তুলনায় এবং এই ব্যথা অ্যানালজেসিক বা বেদনানাশক দিয়েই সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় যা মোটামুটি তিনদিন খেতে হয়। Strip পদ্ধতিতে যেহেতু কাটা হয় এবং সেখানে একটা সেলাই পড়ে তাই অস্ত্রোপচার পরবর্তী পর্যায়েও অনেক বেশি যন্ত্রণা হয়। Strip পদ্ধতিতে একটা লম্বা সময়ের জন্য বেদনানাশক ওষুধ খেতে হয়।

কেশ প্রতিস্থাপনের যন্ত্রণা সম্পর্কে এখানে আরো পড়ুন: কেশ প্রতিস্থাপনের যন্ত্রণা

প্রসাধনী প্রক্রিয়ায় বিবেচনার জন্য অবশ্যই এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

রোগীরা জানতে আগ্রহী যে প্রক্রিয়াটির জন্য কতটা সঠিকভাবে খরচের হরসেব করা হবে এবং চূড়ান্ত খরচ কী আসবে। লোকে এটাও জানতে চান যে প্রক্রিয়া শুরু আগে ইনভেস্টিগেশনের জন্য কত খরচ হবে এবং প্রক্রিয়ার পর গজানো চুল ধরে রাখতে কত খরচ হবে। আসলে কেশ প্রতিস্থাপনে নানা ধরনের খরচ হয়ে থাকে। খরচের উপর প্রভাব ফেলে এমন মূল বিষয়টা হলো FUE বনাম Strip পদ্ধতি – ব্যতিক্রমহীনভাবেই FUE-তে Strip-এর তুলনায় বেশি খরচ। ডিএইচটিসি (ডাউনটাউন হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট ক্লিনিক)-এ উত্তর-পূর্বের মানুষের জন্য যথাসম্ভব সর্বনিম্ন হারে খরচ ধরে রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কেশ প্রতিস্থাপনের খরচ সম্পর্কে এখানে আরো পড়ুন: কেশ প্রতিস্থাপন খরচ.

কেশ প্রতিস্থাপন খুবই নিরাপদ একটা পদ্ধতি। কেশ ত্বকেই মজুত থাকে, এবং তাই এই প্রক্রিয়ায় কেবলমাত্র যে জিনিসটা নিয়ে কারবার করা হয় তা হলো ত্বকের উপরিস্তর। তাই এই প্রক্রিয়ার কোনো অংশেই কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই।

Strip পদ্ধতির তুলনায় FUE পদ্ধতি অনেক বেশি সুরক্ষিতও। Strip পদ্ধতিতে ত্বকের একটা পটি কেটে বের করে নেওয়া হয় এবং প্রান্তগুলি সেলাই করে দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিটা খুবই নিরাপদ হলেও এতে অত্যধিক রক্তপাত, ক্ষতে সংক্রমণ, স্নায়ুর ক্ষত থেকে দীর্ঘমেয়াদী যন্ত্রণা প্রভৃতির মতো সামান্য কিছু ঝুঁকি থাকে। FUE পদ্ধতিতে এই ঝুঁকিগুলিও থাকে না। কেশ বের করার জন্য বিশেষ ধরনের একটা ছোট্ট ড্রিল ব্যবহার করা হয় এবং নতুন জায়গায় ফের নতুন করে বসানোর জন্য বিশেষ ইমপ্ল্যান্টার কাজে লাগানো হয়- এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কোথাও কোনো ধরনের ঝুঁকি জড়িত নয়।

সমস্ত মেডিক্যাল পদ্ধতির মতোই কেশ প্রতিস্থাপনেও সঠিক ডাক্তার এবং সঠিক ক্লিনিক বাছাই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত জুড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে নতুন নতুন ক্লিনিক, আর মিডিয়া ও ইন্টারনেটে তারা সব চটকদার বিজ্ঞাপন নিয়ে হাজির। কোম্পানিগুলি যেসব সস্তার ডিসকাউন্ট ও চাতুরীময় স্লোগান দেখে একজন সম্ভাব্য রোগী বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। কোনো ব্যক্তি যাতে সঠিক চিকিৎসা পান এবং প্রতারিত না হন তা নিশ্চিত করতে কোন মাপকাঠিটি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে? হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট ডক্টর ও ক্লিনিক বাছাইয়ের জন্য একজন চিকিৎসক ও ক্লিনিক ক্রাইটেরিয়ার বাছাইয়ে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে এখানে দেখুন।

প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চুলের সংখ্যা আলাদা আলাদা মতো হয়। রোগীকে দেখা ও পরীক্ষা করার পরই এই সংখ্যাটা মূল্যায়ন করা যায়। অধিকাংশ রোগীরই 1000 থেকে 2000 কেশ প্রতিস্থাপন করতে হবে, সেখানে যাদের সদ্য টাক পড়তে শুরু হয়েছে 500চুল দিয়েই একটা প্রাথমিক প্রতিস্থাপন করিয়ে নিতে পারেন যা চুল পড়ে যাওয়া ঢাকতে যথেষ্ট এবং একটা সুন্দর আচ্ছাদন ও চেহারা এনে দেয়। অন্তিম পর্যায়ের টাকের ক্ষেত্রে 2500 থেকে 3000 বা তারও বেশি দরকার হতে পারে।

প্রতিস্থাপনের জন্য চুলের আপনার আদর্শ চাহিদার আনুমানিক হিসেব করতে ডাউনটাউন আরোগ্যম হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।